এখানে নামলে বা এর কাছাকাছি গেলে কেউ আর জীবিত ফেরেন না। সম্প্রতি এমনই পুলের খোঁজ পেলেন মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল বিজ্ঞানী।

লোহিত সাগরের প্রায় ছয় হাজার ফুট গভীরে সম্প্রতি ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই মৃত্যুপুরীর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্যাম পুরকিস নামে এক বিজ্ঞানী লাইভ সায়েন্স-এ দাবি করেছেন, নোনাজলের ঐ পুলে নামামাত্রই মৃত্যু হতে পারে যে কোনো প্রাণীর।

ডেথ পুল

স্যাম ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, কেন এতটা ঘাতক সেই পুল। ঘাতক এই পুলে লবণের মাত্রা অত্যধিক। এই এলাকার পানি সমুদ্রের সাধারণ পানির চেয়ে তিন থেকে আট গুণ বেশি লবণাক্ত।

শুধু তাই-ই নয়, ঐ পানিতে অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যের মাত্রাও অনেক। এখানে রয়েছে বিষাক্ত হাইড্রোজেন সালফাইডের ভান্ডার। ফলে সমুদ্র্রের পানি থেকে এই পুলের পানির ফারাক বিস্তর। তা ছাড়া এই পুলে অক্সিজেনের কোনো অস্তিত্ব নেই। আর তার জেরে মুহূর্তেই মারা পড়তে পারে সামুদ্রিক জীব বা কোনো প্রাণী।

ডেথ পুল

এই পুল বিপুল পরিমাণ জীবাণুদের ঘর। তবে পৃথিবীতে কীভাবে সমুদ্রের সৃষ্টি হয়েছিল, তা জানতে এই আবিষ্কার অনেকটাই সাহায্য করবে বলে দাবি করেছেন স্যাম।

তিনি আরো জানান যে, এই আবিষ্কার জরুরি ছিল। কেননা এর থেকেই আন্দাজ করা যাবে অন্য কোনো গ্রহে এ রকম পরিস্থিতিতে কোনো প্রাণী বেঁচে আছে কি না।   সূত্র: আনন্দবাজার 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

• »   মরার পরও যেসব সাপ কামড়াতে পারে
• »   উল্কাবৃষ্টি কেন হয়?
• »   সোনা, ওয়াইন ছাড়াও যা থাকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ৩ আইসক্রিমে
• »   বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ১০ বিমানবন্দর
• »   সঞ্চয়পত্র কেনার আগে যেসব বিষয় জানা জরুরি
• »   চুলের মুঠি গাছে বেঁধে ঝুলে রইলেন ২৫ মিনিট
• »   এক কাপ চা খেতে লাগবে ৩৫ বছর!
• »   যে প্রাণীর রক্তে প্রাণ রক্ষা পেয়েছে হাজারো মানুষের
• »   ১০ কেজি ওজনের রহস্যময় ফুল রাফ্লেশিয়া
• »   ইতালির কারোনিয়া গ্রামের যে রহস্য আজও অধরা